রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৯ অপরাহ্ন
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই ৫ সিটি নির্বাচন করতে চায় নির্বাচন কমিশন। জুলাই মাসের মধ্যেই খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, সিলেট এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে সকল প্রস্তুতিও। এই পাঁচ সিটির ভোট নিয়ে সরকারের মতামত চেয়ে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে সীমানা, ওয়ার্ড বিভক্তি, আদালতের আদেশ প্রতিপালনসহ নির্বাচনের বিষয়ে সকল অগ্রগতিও স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে জানতে চেয়েছে ইসি। অন্য দিকে জাতীয় নির্বাচনের আগমুহূর্তে সিটি নির্বাচনকে কঠিন পরীক্ষা বলে মনে করছেন বিশেজ্ঞরা।
আসছে সিটি করপোরেশনকে ঘিরে চায়ের দোকান থেকে নগর ভবন। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পাড়া মহ্ল্লায় এখন হরদমে চলছে ভোটের আলোচনা। ভোটাররও দিন গুনছেন নতুন নগরপিতার অপেক্ষায়। সিটি নির্বাচনের এই উত্তাপ ছড়িয়েছে রাজশাহী, গাজীপুর, বরিশাল এবং খুলনায়ও।
২০১৩ সালের ১৫ই জুন একযোগে ভোট-গ্রহণ হয়েছিল চার সিটিতে। তার ২০ দিন পরেই ছিল গাজীপুর সিটির নির্বাচন। এই ৫ সিটিরই মেয়র এবং কাউন্সিলরদের মেয়াদ একেবারে শেষের দিকে। আইন অনুযায়ী, এ বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে গাজীপুর ও খুলনা এবং অক্টোবরের মধ্যে রাজশাহী, সিলেট ও বরিশালের নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। তবে জুলাইয়ের মধ্যেই সবকটি সিটির নির্বাচন করার ভাবনার কথা জানিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের মতামত চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ৫টি সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ সেপ্টেম্বরে শেষ হয়ে যাবে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা চাইবো জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনগুলো শেষ করতে। আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
জাতীয় নির্বাচনের ৬ মাস আগে ৫ সিটির ভোট গ্রহণ নির্বাচন কমিশনের জন্য কঠিন পরীক্ষা হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সদিচ্ছা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তারা।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে হওয়াতে জাতীয় নির্বাচনের প্রভাব পরবে এটাও সত্য। জাতীয় নির্বাচন একে প্রভাবিত করবে এটাও সত্য। প্রত্যেকটি সঠিক হয়েছে কিনা দেখবে। তারপরেই তারা শিডিউল ঘোষণা করবে।
পাঁচ সিটির মধ্যে গাজীপুরের মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৪ঠা সেপ্টেম্বর, খুলনার ২৫ সেপ্টেম্বর, রাজশাহীর ৫ই অক্টোবর, সিলেট ৮ই অক্টোবর এবং বরিশালের ২৩শে অক্টোবর। আগে এসব সিটির নির্বাচন নির্দলীয়-ভাবে হলেও, এবার হবে দলীয় প্রতীকে।